প্রসঙ্গের মধ্য থেকে যোগাযোগ করি।।প্রথম অধ্যায়-সমাধান।সপ্তম শ্রেণি।বাংলা।

প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি

প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি
প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি

প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি

প্রথম অধ্যায়-সমাধান।সপ্তম শ্রেণি।বাংলা।

পরিস্থিতি ১ নমুনা ‍উত্তর: অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় বলব, ‘’কাকা, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি বুঝতে পারিনি যে, আপনি মেঝে পরিষ্কার করছেন এবং মেঝেটি ভেজা ছিল। আসলে আমার খেয়াল করা উচিত ছিল। দয়া করে আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।”

পরিস্থিতি ২ নমুনা ‍উত্তর: [আগে আত্মীয়ের বাড়ির ঠিকানা ফোন করে জেনে নিতে হবে।] তারপর, আত্মীয়ের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী চলে যাব। পৌঁছে যাওয়ার পরে কুশল বিনিময় করতে হবে–যারা বয়সে আমার চেয়ে কনিষ্ঠ (ছোটো) তাদের ’‍তুমি’ বলে সম্বোধন করতে হবে; এবং যারা বয়োঃজ্যেষ্ঠ (বয়সে বড়ো) তাদের ’আপনি’ বলে সম্বোধন করতে হবে।

পরিস্থিতি ৩ নমুনা ‍উত্তর: সহপাঠীর যাতে বাল্য বিবাহ আটকানো যায় তার জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করতে হবে। এই বিষয়টি প্রথমেই শ্রেণি শিক্ষককে অবগত করতে হবে। ক্লাস-শিক্ষক, প্রধান শিক্ষকের সাথে পরামর্শক্রমে প্রশাসনের সহযোগিতায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।

পরিস্থিতি ৪ নমুনা ‍উত্তর: প্রথমে ভর্তিহওয়া শিক্ষার্থীর সাথে পরিচিত হবো। সে কোন ক্লাসে পড়ে জেনে নিতে হবে। অতঃপর, আমাদের বিদ্যালয় সম্পর্কে বর্ণনা দিবো। আমাদের এলাকায় কোন কোন দর্শনীয় স্থান রয়েছে সে সম্পর্কে বলব। মনে রাখতে হবে এসব আলাপকালে যাতে মর্যাদা বজায় থাকে এবং অপ্রাসঙ্গিক কোনো কথা যাতে না বলা হয়।

পরিস্থিতি ৫ নমুনা ‍উত্তর: পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার জন্য দুপক্ষকে আহ্বান করব। প্রথমে জানতে চাইব ঝগড়া লাগার কারণ সম্পর্কে। তারা সেই কারণ বর্ণনা করার পরে তাদের ভুল বোঝাবুঝি সম্পর্কে আমায় খোলাসা করে নিতে হবে। ভুল-বোঝাবুঝির জের ধরে ঝগড়া না করার আহ্বান করবো। সবসময় মথায় রাখতে হবে আমি যেহেতু মিমাংসা করতে এসেছি; আমাকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে। ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে যাতে বন্ধুত্বে ফাঁটল সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করব।

পরিস্থিতি ৬ নমুনা ‍উত্তর: যদি আশেপাশে কোথাও আগুন লাগে প্রথমে ফায়ারসার্ভিসে কল দেব। যদি ফায়ার সার্ভিসের নম্বর না থাকে; তবে সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করব। নম্বর পেয়ে গেলে ফায়ার সার্ভিসে কল ‍দিব। কোন জায়গায় আগুন লেগেছে সেই ঠিকানা তাদের জানিয়ে দিতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের লোকদের সাথে কথা বলার সময় যাতে মর্যাদা বজায় থাকে সেই ‍দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি

যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিবেচ্য

ক. ব্যক্তির বয়স: যোগাযোগের ক্ষেত্রে বয়সের ‍দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তি বয়সে বড়ো বা ছোট হলে সে অনুযায়ী সর্বনাম এবং ক্রিয়াপদের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

খ. বাচনভঙ্গি ও ব্যবহার: কথা বলার ধরণ এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ভঙ্গি দ্বারা যাতে অশালীন না দেখায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

গ. ভাষা: শ্রোতা যাতে বক্তার কথাগুলো সহজেই বুঝতে পারে সেই ‍দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি উঁচু বা নিচু গলায় কথা বলা যাবে না—মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

 

প্রথম অধ্যায়-সমাধান।সপ্তম শ্রেণি।বাংলা।
ভাষার মর্যাদা প্রকাশ

(প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি)

কোনো ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় আমাদের মাথায় রাখতে হয় কিছু জিনিস। যেমন- ব্যক্তি বয়সে বড়ো কি-না; কী বলে সম্বোধন করা যায়। বয়সের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে সর্বনামের প্রয়োগ করতে হবে।

সর্বনাম হচ্ছে, বিশেষ্য বা কোনোকিছুর নামের পরিবর্তে যা ব্যবহার করা হয়। যেমন- আপনি, তুমি, আপনারা, তুই ইত্যাদি।

সর্বনাম মূলত তিন প্রকার:

১. সাধারণ সর্বনাম (তুমি, তোমরা, তারা, সে);

২. মানী সর্বনাম (আপনি, আপনারা, তিনি, তাঁরা, ওঁরা);

৩. ঘনিষ্ঠ সর্বনাম (তুই, তোরা,)।

মর্যাদা অনুযায়ী সর্বনাম ও ক্রিয়ার প্রয়োগ

আমার নানা একবার খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। (তাঁকে) নিয়ে আমার বড়ো মামা জেলা সদরের হাসপাতালে (গেলেন)। হাসপাতালের ডাক্তার (বলেছিলেন), কয়েকদিন রোগীকে হাসপাতালে থাকতে হবে। ওই সময় নানা তিনচার দিন হাসপাতালে (ছিলেন)। মা হাসপাতালে থেকে নানার সেবা (করতেন)

একদিন বিকালে আমি বড়ো মামার সাথে হাসপাতালে গিয়েছিলাম নানাকে দেখতে। এত বড়ো হাসপাতাল আমি আগে দেখিনি। জরুরি বিভাগের সামনে একটু পরপরই রোগী আসছে। আর সেখানকার ডাক্তার-নার্স সেসব রোগী নিয়ে ব্যস্ত হয়ে (পড়ছেন)। বেশি লোকের ভিড় দেখে দারোয়ান বারবার (বলছেন), “(আপনারা) এখানে ভিড় করবেন না।’

নানা আমাকে দেখে খুব খুশি (হলেন)। তবু তিনি (বললেন), ‘তুই আবার আসতে (গেলি) কেন?’ নানা আমাকে আদর করে তুই করে বলে। আমি ছোটোবেলায় নানাকে তুমি করে বলতাম। এখন (তাঁকে) আপনি করে বলি। আমি নানার কথার উত্তরে বললাম, ‘নানাভাই, আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে (যাবেন)।’(আরও দেখুন প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি)

খানিক বাদে একজন নার্স এসে নানাকে ওষুধ খাইয়ে (গেলেন)(তিনি) বললেন কাল নানাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেবে। সন্ধ্যার আগে আগে বড়ো মামা যাওয়ার জন্যে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর (বললেন), ‘(চল্), এবার যাই; কাল সকালে আবার আসিস।’  আমি বললাম, ‘(চলেন), মামা।’

ভাষিক যোগাযোগ অভাষিক যোগাযোগ

*ভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ: কথোপকথন, টেক্সমেসেজ, সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাটিং।

*অভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ: ইশারা-ইঙ্গিত, সংকেত, হাত-পা নাড়িয়ে।

*প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি*
পড়ে কী বুঝলাম

প্রশ্ন ১: সোমা আপা ক্লাসে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন?

উত্তর: সোমা আপা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলছিলেন।

প্রশ্ন ২: সোহেল কেন পলাশের কথায় বিরক্ত হয়েছিল?

উত্তর: পলাশ অপ্রাসঙ্গিক কথা বলায় সোহেল তার কাজে মন দিতে পারছিল না; তাই সোহেল পলাশের কথায় বিরক্ত হয়েছিল।(আরও দেখুন প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি)

প্রশ্ন ৩: পলাশ যা জানতে চাচ্ছিল, তা আর কোন উপায়ে সে জানতে পারত?

উত্তর: পলাশ যা জানতে চাচ্ছিল তা, সোহেলের কাজ শেষ হওয়ার পর জানতে পারতো অথবা ছুটির পরও জানা যেত।

প্রশ্ন ৪: সোহেল কীভাবে পলাশকে প্রসঙ্গের মধ্যে আনার চেষ্টা করতে পারত?

উত্তর: ক্রিকেট খেলার দলগঠন অই মূহুর্তের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই কথা বলে তাকে বুঝিয়ে বলতে পারত। এই এই প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য পলাশকে অনুরোধ করতে পারতো।

প্রশ্ন ৫: পলাশ কীভাবে সোহেলের সাথে কথা বললে তা প্রাসঙ্গিক হতো?

উত্তর: পলাশ সোহেলের সাথে ক্রীড়া বিষয়ে কথা বললে; দলগঠন নিয়ে কথা বললে প্রাসঙ্গিক হতো।

প্রশ্ন ৬: প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোন কোন দিক বিবেচনায় রাখতে হয় বলে তুমি মনে করো?

উত্তর: প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে  আলোচনার বিষয়বস্তুর দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

        প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি

 প্রাসঙ্গিক কথা: অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল পুরাতন কোনো ঐতিহাসিক জায়গা ঘুরতে যাব। বাবার মুখে অনেকবার লালবাগ কেল্লার কথা শুনেছি। ঠিক করা হলো সবাই মিলে সেখানে যাবো। আমাদের যাওয়ার কথা শুনে আমার মামাতো বোনও যেতে চাইল। ওঁর নাম শেফালি শেফালি লালবাগ কেল্লা দেখতে চায় শুনে বাবা হেসে বললেন, ‘ঠিক আছে। আমরা টিকিট কেটে কেল্লার ভিতরে ঢুকলাম। ওখানে যেতে যেতেই বাবা বলেছিলেন, লালবাগের কেল্লা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি মোগল আমলে তৈরি করা একটা দুর্গ। ১৬৭৮ সালে মোগল-সুবেদার আজম শাহ দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন। আজম শাহ ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র। বাবা আরও বলেছিলেন, দুর্গের কাজ শেষ হওয়ার আগেই আজম শাহকে দিল্লি চলে যেতে হয়। এরপর ১৬৮০ সালে সুবেদার শায়েস্তা খাঁ দুর্গ তৈরির কাজ আবার শুরু করেন। কিন্তু ১৬৮৪ সালে শায়েস্তাখাঁর কন্যা পরীবিবি হঠাৎ মারা যান। শায়েস্তাখাঁ তখন দুর্গের কাজ থামিয়ে দেন

 

  প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ করি

অপ্রাসঙ্গিক কথা: শেফালিকে নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনা আছে। একবার যেমন, আমার মামা ওকে বলেছিলেন, শেফালি, তুমি কি আমার জন্য এক কাপ চা বানিয়ে আনতে পারবে? শেফালি কী বুঝল কে জানে! একটা ডিম ফাটিয়ে ভাজি করার প্রস্তুতি নিতে লাগল। তা দেখে আমার মামি হাসতে লাগলেন। শেফালি অনেক লজ্জা পেয়েছিল সেদিন।


আশাকরি “প্রসঙ্গের মধ্য থেকে যোগাযোগ করি।।প্রথম অধ্যায় -সমাধান।সপ্তম শ্রেণি।বাংলা।“ আর্টিকেলটি তোমাদের ভালো লেগেছে। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক এবং পেইজ


আরও দেখুন:মানুষ কবিতার মূলভাব ও ব্যাখ্যা

আরও দেখুন:সেইদিন এই মাঠ কবিতার ব্যাখ্যা

আরও দেখুন:কপোতাক্ষনদ কবিতার ব্যাখ্যা

আরও দেখুন:সমাসের সহজ ব্যাখ্যা

আরও দেখুন: আনন্দধারা প্রশ্নোত্তর – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ১ম অধ্যায়
আরও দেখুন: শীত-প্রকৃতির রূপ সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ২য় অধ্যায়
আরও দেখুন: পলাশের রঙে রঙিন ভাষা সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৩য় অধ্যায়
আরও দেখুন: স্বাধীনতা তুমি সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৪র্থ অধ্যায়
আরও দেখুন: নব আনন্দে জাগো সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৫ম অধ্যায়

আরও দেখুন: আত্মার আত্মীয় সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৬ষ্ঠ অধ্যায়
আরও দেখুন: বৃষ্টি ধারায় বর্ষা আসে সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম অধ্যায়
আরও দেখুন: টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৮ম অধ্যায়
আরও দেখুন: শরৎ আসে মেঘের ভেলায় সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৯ম অধ্যায়
আরও দেখুন: হেমন্ত রাঙা সোনা রঙে সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ১০ম অধ্যায়

আরও দেখুন: বিশ্বজোড়া পাঠশালা – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
আরও দেখুন: নকশা খুঁজি নকশা বুঝি – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় সমাধান
আরও দেখুন: মায়ের মুখের মধুর ভাষা – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৩য় অধ্যায় সমাধান
আরও দেখুন: স্বাধীনতা আমার – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় সমাধান
আরও দেখুন: বৈচিত্র্যে ভরা বৈশাখ – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৫ম অধ্যায় সমাধান

2 thoughts on “প্রসঙ্গের মধ্য থেকে যোগাযোগ করি।।প্রথম অধ্যায়-সমাধান।সপ্তম শ্রেণি।বাংলা।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top