শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান: বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আলপনা আঁকা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন রীতি। বর্তমানে বিয়ে বা গায়ে হলুদে কিংবা একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বা রাস্তায় আঁকা আলপনা প্রাচীন রীতিরই ধারাবাহিকতা। আলপনা আঁকার মাধ্যমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী রূপকে ফুটিয়ে তোলা হয়। আলপনায় প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান, যেমন- ফুল, পাখি, লতা-পাতা ইত্যাদি আঁকা হয়। পাশাপাশি আলপনায় বিভিন্ন জ্যামিতিক আকার বা ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত ইত্যাদিও আঁকা হয়।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
শিল্প ও সংস্কৃতি পাঠ
শিল্প হলো জ্ঞান, প্রতিভা এবং নানাবিধ আনুসঙ্গিক উপকরণকে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীলতায় রূপ দেয়ার মাধ্যমে নতুনভাবে কিছু সৃষ্টি করা। যেমন: ছবি আঁকা, নাচ, গান ইত্যাদি। অন্যদিকে সংস্কৃতি হলো মানুষের জীবনযাপন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, ভাষা পদ্ধতি, আচার- আচরণ ইত্যাদির সমষ্টি। প্রকৃতির নানা উপাদান আর বিষয়বস্তু তথা আকাশ, বাতাস, পাহাড়, নদী, মাটি, সাগর ইত্যাদি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আমরা শিল্প ও সংস্কৃতি সৃষ্টির অনুপ্রেরণা পাই। কবি সুনির্মল বসুর রচিত ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটি পাঠ করলে প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহণের উপায় এবং গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়।
বিশ্বজোড়া পাঠশালা
পাঠ মূল্যায়ন
প্রশ্ন-১. শিল্প কী?
উত্তর: জ্ঞান, প্রতিভা এবং নানাবিধ আনুসঙ্গিক উপকরণকে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীলতায় রূপ দেওয়ার মাধ্যমে নতুনভাবে কিছু সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন-২. সংস্কৃতি কী?
উত্তর: মানুষের জীবনযাপন, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, ভাষা-পদ্ধতি, আচার- আচরণ ইত্যাদির সমষ্টি।
প্রশ্ন-৩. ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটির রচয়িতা কে?
উত্তর: সুনির্মল বসু।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
ছবি আঁকার জগৎ
নয়ন মেলে একবার চারপাশটা দেখলে আমরা প্রাকৃতিক উপাদান আর বিষয়বস্তুর মধ্যে খুঁজে পাই ছবি আঁকার বিভিন্ন উপাদান। যেমন—
রেখা: রেখা হলো একাধিক বিন্দুর পারস্পরিক সংযোগের ফলে সৃষ্ট পথবিশেষ। আমাদের প্রকৃতি জুড়ে সোজা, বাঁকা ইত্যাদি রেখার সমারোহ। আমরা রেখার উদাহরণ খুঁজে পাই শামুকের খোলে। তার খোলটা দেখতে প্যাঁচানো রেখার মতো। ঠিক তেমনি ‘ আকাশের মেঘ, নদী ঢেউগুলোতেও দেখা যায় ঢেউ খেলানো রেখা।
আকার: আকার হলো বাইরের রেখা বা সীমারেখায় আবদ্ধ একটি রূপ। অর্থাৎ একটি রেখার একপ্রান্ত যখন অন্য প্রান্তকে স্পর্শ করে তখনই আকার সৃষ্টি হয়। যেমন: চতুর্ভূজ, ত্রিভুজ, বৃত্ত ইত্যাদি। সাধারণত আকার দুই প্রকার। যথা- প্রাকৃতিক ও জ্যামিতিক। আকারকে আবার দুটি ভাগে প্রকাশ করা যায়।
রঙ ও বর্ণ: রঙ হলো এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ, যা চোখে দর্শনের অনুভূতি জাগায়। যেমন: লাল, নীল, হলুদ, সবুজ ইত্যাদি রঙ। আমাদের প্রকৃতিতে অজস্র রঙের মধ্যে যে রঙটি আমরা বেশি দেখতে পাই তা হলো সবুজ। ছবি আঁকার জগতে প্রবেশের আগে আমাদের বর্ণচক্র সম্পর্কে জানতে হবে। বর্ণচক্র হলো বৃত্তাকারে সাজানো বিভিন্ন রঙের সমাহার, যা প্রাথমিক, দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরের রঙসমূহের মধ্যে সম্পর্ক প্রদর্শন করে।
বর্ণচক্রের প্রাথমিক রঙগুলো হলো লাল, নীল এবং হলুদ। দুটি প্রাথমিক স্তর মিলে তৈরি হয় দ্বিতীয় স্তরের রঙ, যেমন— নীল আর হলুদ রঙ মিলে তৈরি হয় সবুজ, লাল আর হলুদ মিলে হয় কমলা, লাল আর নীলে হয় বেগুনি ইত্যাদি। এখানে সবুজ, কমলা, বেগুনি হলো দ্বিতীয় স্তরের রঙ। এর বাইরেও প্রকৃতিতে দেখা যায় রঙের বৈচিত্র্য। প্রাথমিক ও দ্বিতীয় স্তরের রঙের মিশ্রণে তৈরি হয় তৃতীয় স্তরের রঙ। যেমন: লালচে কমলা, হলদে কমলা, নীলচে বেগুনি ইত্যাদি।
ছায়া: কোনো বস্তুর যে অংশে আলো পড়ে তার অন্য প্রান্তে তখন ছায়া তৈরি হয়। অর্থাৎ আলোর গতিপথে বাধা সৃষ্টি হলে ছায়া তৈরি হয়। যেমন: আমরা যদি সূর্যের আলোর দিকে মুখ করে দাঁড়াই আমাদের বিপরীত পাশটা তখন ছায়ার দিকে থাকে। আলোছায়ার কারণে আমরা বস্তুর গঠন বুঝতে পারি।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
পাঠ মূল্যায়ন
প্রশ্ন-১. আকার কী?
উত্তর: বাইরের রেখা বা সীমারেখায় আবদ্ধ একটি রূপ।
প্রশ্ন-২. আকার সাধারণভাবে কত প্রকার?
উত্তর: আকার দুই প্রকার।
প্রশ্ন-৩. বর্ণচক্রে প্রাথমিক রঙগুলো কী কী?
উত্তর: বর্ণচক্রে প্রাথমিক রঙগুলো হলো— লাল, নীল ও হলুদ।
প্রশ্ন-৪. বর্ণচক্রে দ্বিতীয় স্তরের রঙগুলো কী কী?
উত্তর: বর্ণচক্রে দ্বিতীয় স্তরের রঙগুলো হলো— সবুজ, কমলা ও বেগুনি।
প্রশ্ন-৫. কোনো বস্তুর এক অংশে আলো পড়লে অন্য প্রান্তে কী তৈরি হয়?
উত্তর: ছায়া।
নাচের জগৎ
নাচ দ্বারা সাধারণত শারীরিক নড়াচড়ার প্রকাশভলিকে বোঝায়। এ প্রকাশভঙ্গি সামাজিক, ধর্মীয় কিংবা মনোরানের ক্ষেত্রে দেখা যায়। আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতে তাকালে আমরা দেখতে পাই নানা ধরনের গতিবিধি। যেমন- বাতাসে গাছের ডাদের দোলা, প্রজাপতির উড়ে যাওয়া, মানুষের হেঁটে চলা ইত্যাদি। এসব গতিবিধির প্রতিটিই নাচের কোনো না কোনো অংশকে প্রকাশ করে।
নাচ বা নৃত্যের তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে। যথা- চলন, মুদ্রা ও রস। কোনো অভিব্যক্তি বুঝাতে হাত, পা অথবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হস্পময়ভাবে পরিচালনা করাকে নাচের ভাষায় ‘চলন’ বলে। হাতের বিভিন্ন ভঙ্গির মধ্য দিয়ে যখন কোনো অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়, নাচের ঢলগতে তাকে ‘মুদ্রা’ বলা হয়। আর নাচের জগতে মুখভঙ্গির নাম ‘রস’।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
পাঠ মূল্যায়ন
প্রশ্ন-১. নাচের জগতে চলন কী?
উত্তর: যখন কোনো অভিব্যক্তি বোঝাতে হাত, পা অথবা শরীরের অফাপ্রত্যঙ্গ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছন্দময়ভাবে পরিচালনা করা হয়।
প্রশ্ন-২. হাতের বিভিন্ন ভঙ্গির মধ্য দিয়ে যখন কোনো অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হয় তখন তাকে কী বলে?
উত্তর: মুদ্রা।
প্রশ্ন-৩. নাচের জগতে ‘রস’ কী?
উত্তর: বিভিন্ন মুখভঙ্গির মধ্য দিয়ে অভিব্যক্তির প্রকাশ।
সংগীতের জগৎ
গীত, বাদ্য ও নৃত্য এই তিনটি কলার সমন্বয়ে স্বর ও তালবদ্ধ মনোরঞ্জক রচনাকে সংগীত বলে। সংগীতের রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেমন- ধ্বনি, সুর, স্বর, লয়, মাত্রা ইত্যাদি। মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখির কণ্ঠ হতে অথবা পদার্থের আঘাতে যে আওয়াজ বা শব্দ হয় তাকে ‘ধ্বনি’ বলে। ধ্বনি হলো শব্দের ক্ষুদ্রতম একক। গ্রহণযোগ্য সুমধুর ধ্বনিকে সংগীতের ভাষায় ‘স্বর’ বলে। এটি সংগীতের প্রধান অঙ্গ বা প্রাণ।
সংগীতের আছে মোট সাতটি ফর। যথা— সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি। প্রতিটি সুমধুর শব্দেই নির্দিষ্ট গতি বিদ্যমান। যেমন: গাছের ডালে বসে থাকা পাখি একটি নির্দিষ্ট তালে সুমধুর দ্বরে ডেকে চলে। এই ডাক কখনও ধীরগতির আবার কখনও দ্রুত। সংগীতের জগতে শব্দের এ নির্দিষ্ট গতিকে ‘লয়’ বলে। লয়কে তিনভাবে প্রকাশ করা যায়। যথা— বিলম্বিত লয়, মধ্যলয়, দ্রুতলয়। সংগীতে লয়কে মাপা হয় মাত্রা দিয়ে, আর মাত্রার ছন্দবদ্ধ সমষ্টিকে ‘তাল’ বলে। যেমন: কাহারবা, দাদরা ইত্যাদি।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
পাঠ মূল্যায়ন
প্রশ্ন-১. মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখির কণ্ঠ হতে অথবা পদার্থের আঘাতে যে আওয়াজ বা শব্দ হয় তাকে কী বলে?
উত্তর: ধ্বনি।
প্রশ্ন-২. সংগীতের জগতে ‘স্বর’ কী?
উত্তর: গ্রহণযোগ্য শ্রুতিমধুর ধ্বনি।
প্রশ্ন-৩. সংগীতের মূল স্বর কয়টি?
উত্তর: ৭টি।
প্রশ্ন-৪. সংগীতের জগতে ময় কাকে বলে?
উত্তর: শব্দ উচ্চারণের নির্দিষ্ট গতি।
প্রশ্ন-৫, লয় কত প্রকার?
উত্তর: তিন প্রকার।
প্রশ্ন-৬. সংগীতে লয়কে কী দিয়ে মাপা হয়?
উত্তর: মাত্রা দিয়ে।
প্রশ্ন-৭ মাত্রার হন্দবন্ধ সমষ্টিকে কী বলা হয়?
উত্তর: তাল।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
কাজ-১: গানের সাথে মিলিয়ে ও প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে রঙ তৈরি করো।
কাজের উদ্দেশ্য: প্রকৃতির বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে প্রাকৃতিক বর্ণচক্র বানানো।
কাজের ধরন: একক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: ১. পাত্র, ২. কাগজ, ৩. বিভিন্ন রঙের মাটি, ৪. বিভিন্ন ফুলের পাপড়ি, ৫. ফল বা ফলের খোসা।
নমুনা সমাধান:
ধাপ-১: প্রথমে একটি পাত্র নিবো। এতে বিভিন্ন রঙের উপাদানগুলো দিয়ে আলাদা আলাদা করে একটি রঙ তৈরি করব।
ধাপ-২: এবার পাত্রে লাল মাটি দিবো সাথে গাঁদা ফুলের পাপড়ি মিশ্রিত করব (গাঁধা ফুলের পাপড়ির রঙ হলুদ)। এভাবে আমরা কমলা রঙ তৈরি করতে পারি।
ধাপ-৩: তুলসী পাতা ও গাঁদা ফুলের পাপড়ির রস দিয়ে আমরা হালকা সবুজ রঙ তৈরি করতে পারি। (তুলসী পাতার রঙ সবুজ)
ধাপ-৪: আমরা একটি কাগলে নীল রঙের অপরাজিতা ফুল ও গাঁদা ফুলের পাপড়ি মিশ্রিত করে সবুজ রঙ তৈরি করতে পারি।
কাজ-২: বিশ্ব জোড়া পাঠশালা অধ্যায়ে যা যা করেছো লেখো এবং অনুভূতি প্রকাশ করো। [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা-১০]
কাজের উদ্দেশ্য: প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের বিন্যাস ও ভিন্নতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও গভীর অনুভূতি অর্জন করা।
কাজের ধরন: একক।
নমুনা সমাধান: (ক) এই অধ্যায়ে আমি যা যা করেছি—
- প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান আর বিষয়বস্তু দেখার ভেতর দিয়ে আঁকা, নাচ, গানের উপাদানগুলো সম্পর্কে জেনেছি।
- বর্ণচক্র সম্পর্কে জেনেছি।
- বর্ণচক্রের রঙগুলোর সাথে মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের পাতা ও ফুল সংগ্রহ করেছি।
- গানের সাথে মিলিয়ে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রঙ তৈরি করেছি।
- খাতায় পাতা এঁকে গাঢ়-হালকা সবুজ রঙ করেছি।
- সবুজ রঙ করার পাশাপাশি নীল, হলুদ, লাল ইত্যাদি রঙ ব্যবহার করেছি।
- রঙের গানটি অনুশীলন করেছি এবং সবাই মিলে আনন্দময় ভঙ্গির মাধ্যমে গানটি গেয়েছি।
- রঙ-বেরঙের কাগজ দিয়ে খাতা বানিয়েছি। খাতার মলাটে সুন্দর একটা নকশা করেছি। খাতার নাম দিয়েছি ‘বন্ধুখাতা’।
(খ) আমার অনুভূতি –
অধ্যায় নিয়ে শ্রেণিশিক্ষকের আলোচনা প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান ও বিষয়বস্তুর আলোচনার মাধ্যমে আমরা আঁকাআঁকি, নাচ, গান ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি। এগুলো আমরা শিল্প সৃষ্টির কাজে লাগাতে পারব। বর্ণচক্র সম্পর্কে শ্রেণিশিক্ষক আমাদের যে ধারণা দিয়েছেন সেই অনুযায়ী আমি এখন নানা রঙ তৈরি করতে পারি।
এই অধ্যায়ে দেওয়া রঙ বিষয়ক গানটি অনুশীলন এবং সহপাঠীরা মিলে সবাই মিলে একসাথে পরিবেশন করে অনেক আনন্দ পেয়েছি। আমি একটি বন্ধুখাতাও তৈরি করেছি। বন্ধুখাতায় বিভিন্ন গাছের পাতা এঁকে রঙ করেছি। প্রায় সবগুলো রঙ ব্যবহার করেছি পাতাগুলোতে। এ কাজগুলো করার মাধ্যমে প্রকৃতির উপাদানের বিন্যাস ও ভিন্নতা থেকে শিল্পের উপাদান সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান এক কথায় উত্তর
১. আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতে তাকালে গাছ, গাছের পাতা, মেঘ, নদীর ঢেউ দেখতে পাই। এগুলোর মধ্যে আমরা কী খুঁজে পাই?
উত্তর: রেখা
২. স্বপীল কয়েকটি রেখা ব্যবহার করে একটি আবদ্ধ রূপ তৈরি করল। এই আবদ্ধ রূপকে কী বলে?
উত্তর: আকার
৩. আকার ও গড়ন দু’টিই হলো বস্তুর রূপ। কিন্তু এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। পার্থক্যটি লেখো।
উত্তর: আকার সাধারণত দ্বিমাত্রিক রূপ, আর গড়ন হলো ত্রিমাত্রিক রূপ।
৪. নাচের মধ্যে হাতের বিভিন্ন ভঙ্গির মধ্য দিয়ে অভিব্যক্তি প্রকাশকে নাচের জগতে মুদ্রা বলে। নাচের জগতে রস কী?
উত্তর: বিভিন্ন মুখভঙ্গির মধ্য দিয়ে অভিব্যক্তি প্রকাশ।
৫. বর্ণচক্রের প্রাথমিক রঙগুলো (লাল, নীল, হলুদ) ব্যবহার করে দুটি দ্বিতীয় স্তরের রঙ তৈরি কর।
উত্তর: লাল + নীল = বেগুনি রঙ ও নীল + হলুদ = সবুজ রঙ।
৬. তোমরা প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে বেশী দেখতে পাও?
উত্তর: বিভিন্ন ও বিচিত্র রকমের গাছ।
৭. সুনীল আকাশ দেখে তোমরা অনেক আনন্দ পাও। এটি তোমাদের কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর: উদার হওয়া।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান – সত্য মিথ্যা যাচাই
১. প্রকৃতির উপাদান আর বিষয়বস্তুর মধ্যে জ্ঞানের চোখ দিয়ে খুঁজে দেখি ছবি আঁকার উপাদান। উত্তর: মিথ্যা।
২. আকার হলো ভেতরের রেখা বা সীমা রেখায় আবদ্ধ একটি রূপ। উত্তর: মিথ্যা।
৩. সাধারণভাবে আকার দুই প্রকার। উত্তর: সত্য।
৪. সূর্যের নয় রঙা আলোরা প্রতিনিয়ত রাঙ্গিয়ে দিচ্ছে আমাদের চারপাশ। উত্তর: মিথ্যা।
৫. আলো-ছায়ার কারণে আমরা বস্তুর গঠন বুঝতে পারি। উত্তর: সত্য।
৬. নীল ও হলুদ রঙ মিলে তৈরি হয় সবুজ। উত্তর: সত্য।
৭. সংগীতের লয়কে মাপা হয় মাত্রা দিয়ে, আর মাত্রার ছন্দবদ্ধ সমষ্টিকে বলা হয় তাল। উত্তর: সত্য।
৮. গীত, বাদ্য আর ছন্দ এই তিনকে একসাথে সংগীত বলে। উত্তর: মিথ্যা।
আরও দেখুন: বৃষ্টি ধারায় বর্ষা আসে সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম অধ্যায়
আশাকরি “শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান” আর্টিকেল টি তোমাদের ভালো লেগেছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে আমরা লাইভ ক্লাস ও নান সাজেশন শেয়ার করি। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক–পেইজ–লিংডিন এবং সাবক্রাইব করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।