আত্মার আত্মীয় সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৬ষ্ঠ অধ্যায়

৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৬ষ্ঠ অধ্যায়: পৃথিবীতে রংবেরঙের নানা রকম পাখি দেখা যায়। আমাদের দেশেও নানা জাতের নানা আকৃতির পাখি রয়েছে। এসব পাখির স্বভাব- বৈশিষ্ট্য, বাসা তৈরির কলাকৌশল ও গানের সুরে ভিন্নতা আছে। তবে এদের ওড়াউড়ি, দলবেঁধে থাকা, টুকটুক করে খাওয়ার দৃশ্য, বাচ্চাদের খাওয়ানোর ধরন অভিন্ন। পাখিরা নিজেদের তৈরি বাসা আর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গভীর কখনে আবদ্ধ থাকতে পছন্দ করে। কারণ পরিবারের সবাই একে অন্যের আত্মার আত্মীয়। প্রকৃতি জগতে পাখিদের এই জীবনাচরণ থেকে মানুষ শিক্ষা নিতে পারে।

পাখপাখালির জীবনযাপন, তাদের একসঙ্গে মিলেমিশে থাকা, পারস্পরিক সহমর্মিতা, নান্দনিকতা উপলব্ধি করতে পারে মানুষ। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই সংস্কৃতি গড়ে উঠলে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সঙ্গে গভীর বন্ধনের বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবে। একটি পরিবারের সবাই সবার আত্মার আত্মীয়। আর প্রতিটি পরিবারই তার সব সদস্যের নিরাপদ আশ্রয়।


   ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৬ষ্ঠ অধ্যায়

কাজ-১: আমরা বাবুই পাখির বাসা দেখতে পারি এবং তা বন্ধুখাতায় লিখে রাখতে পারি। [পাঠ্যবই পৃষ্ঠা-৩৫]

আমরা বাবুই পাখির বাসা দেখেছি এবং তা বন্ধুখাতায় নিম্নোক্তভাবে লিখে রেখেছি। আমরা বাবুই পাখির বাসা দেখতে আমাদের স্কুলের পুকুরপাড়ে তালগাছের কাছে যাই এবং ঐ গাছের পাতার দিকে তাকিয়ে বাবুই পাখির সুন্দর বাসা ঝুলতে দেখি। শিক্ষক আমাদের সবাইকে বাবুই পাখির বাসা তৈরি সম্পর্কে জানালেন। আমরা বাবুই পাখির বানানো সুন্দর বাসাটি দেখে মুগ্ধ হলাম। বাবুই পাখির বানানো বাসাটি দেখে আমি বাবুই পাখিকে পরিশ্রমী পাখি হিসেবে আখ্যায়িত করি।

কাজ-২: আমাদের পরিবার সম্পর্কে বন্ধুখাতায় কিছু লিখতে পারি। [পাঠাবই পৃষ্ঠা-৩৫]

আমাদের পরিবারে আমরা ছয়জন সদস্য। দাদা-দাদি, বাবা-মা এবং দুই ভাই-বোন। আমি ছোট ভাই। বাবা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে থাকেন। মা বাসার রান্নাবান্না ও আমাদের পড়ালেখার প্রতি খেয়াল রাখেন। আমার ছোট বোনকে আমি স্কুলে নিয়ে যাই। ঘরে ফিরে আমরা দাদা-দাদির কাছে নানা রকম গল্প শুনি। পরিবারের সদস্য ছাড়াও আমাদের বাড়িতে যেসব প্রাণী যেমন- গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি ও গাছগাছালির সঙ্গে আমাদের গভীর মিতালি।

আমরা গাছ খুব পছন্দ করি। দাদু ভাই বাড়ির আঙ্গিনায় অনেক গাছ লাগিয়েছেন। আমরা খালি জায়গায় ফলদ ও বনজ গাছ লাগাই। গাছের নিচে বসে প্রশান্তি লাভ করি। পোষা পশুপাখির যত্ন করি। আমরা সবাই সবার সঙ্গে মিলে আমাদের পরিবারটিকে পূর্ণ করে তুলি। ফলে আমাদের ঘরটি হয়ে ওঠে আনন্দময় নিরাপদ আশ্রয়স্থল।


 আত্মার আত্মীয় সমাধান

টীকা লিখ – পাখিদের জীবনকথা

বাড়ির আশেপাশে গাছগাছালি থাকলে রোজ সকালে একটা মজার কাণ্ড ঘটে। নানা রকম পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভাঙে। ওরা নানা সুরে ডাকাডাকি করে। তাতে মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। এগুলোর অনেক পাখিই আমাদের পরিচিত। পাখি আমাদের অনেক উপকার করে। পরিবেশ রক্ষা করে তারা। তারা আমাদের প্রতিবেশীর মতো। তারা আমাদের বন্ধু। পাখিরা নানাভাবে বাসা তৈরি করে। খাদ্যের সন্ধানে বের হয়। আবার বাসায় ফিরে আসে। বাচ্চাদের নিয়ে বাসায় থাকে, এটাই তাদের পরিবার। পরিবারের সবাই একে অন্যের আত্মার আত্মীয়।

টীকা লিখ – ছোট্ট পাখি দোয়েল

ছোট্ট পাখি দোয়েল। দেশের সব জায়গায় দেখা যায় এদের। ঝোপে ঝাড়ে, গাছের কোটরে, দালানের ফাঁকে ফোকরে থাকে। দোয়েলের মতো মিষ্টি গান গাইতে পারে খুব কম পাখি। নরম সুরে শিস দেয়। সেই ডাকে আমাদের মন মাতে। সাদা-কালোয় সাজানো তার পালকের পোশাক। ডানার ওপরে চওড়া সাদা দাগ টানা। এর লেজ বেশ লম্বা। এরা ইচ্ছে হলেই লেভ নাচিয়ে খেলা করে। দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি।

টীকা লিখ – ছোট্ট পাখি বাবুই

ছোট পাখি বাবুই। এরা খুব সুন্দর করে বাসা বানাতে পারে। সরু সরু আঁশ দিয়ে তারা বাসা বোনে। লম্বাটে বাসাগুলো বাতাসে দোল খায়। তখন খুব সুন্দর দেখায়। সুন্দর বাসা বুনতে পারে বলে বাবুইকে বলা হয় তাঁতি পাখি। একে শিল্পী পাখিও বলা হয়।


৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৬ষ্ঠ অধ্যায় এক কথায় উত্তর

প্রশ্ন ১। পৃথিবীতে কেমন পাখি দেখা যায়?
উত্তর: রংবেরঙের।

প্রশ্ন ২। প্রকৃতি জুড়ে পাখির কীসের মেলা দেখা যায়?
উত্তর: হরেক রকমের ভঙ্গির।

প্রশ্ন ৩। আমাদের জাতীয় পাখির নাম কী?
উত্তর: দোয়েল।

প্রশ্ন ৪। কোন পাখিকে তাঁতি পাখি বলা হয়?
উত্তর: বাবুই পাখিকে।

প্রশ্ন ৫। কোন পাখি সাধারণত তাল, খেজুর গাছে বাসা তৈরি করে?
উত্তর: বাবুই পাখি।

প্রশ্ন ৬। বাবুই পাখির বাসাগুলো দেখতে কেমন?
উত্তর: সুনিপুণ ও সুন্দর।

প্রশ্ন ৭। পাখিরা কীভাবে থাকে?
উত্তর: দলবেঁধে।

প্রশ্ন ৮। পাখিদের খাওয়া বাচ্চাদের খাওয়ানোর ধরন কেমন?
উত্তর: একই রকম।

প্রশ্ন ৯। পাখিদের নিজের বাসায় থাকার দৃশ্য দেখে কী বুঝা যায়?
উত্তর: পরিবারের সঙ্গেই তার আত্মার সম্পর্ক।

প্রশ্ন ১০। ‘কুড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই’- একথা বাবুইকে কে বলে?
উত্তর: চড়াই।

প্রশ্ন ১১। অট্টালিকা পরে কে মহাসুখে থাকে?
উত্তর: চড়াই।

প্রশ্ন ১২। কষ্ট পেলেও বাবুই কোথায় থাকে?
উত্তর: নিজের বাসায় ।

প্রশ্ন ১৩। “নিজ হাতে গড়ামোর কাঁচা ঘর খাসা- এ কথা কে বলে?
উত্তর: বাবুই।


আরও দেখুন: আনন্দধারা প্রশ্নোত্তর – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ১ম অধ্যায়
আরও দেখুন: শীত-প্রকৃতির রূপ সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ২য় অধ্যায়
আরও দেখুন: পলাশের রঙে রঙিন ভাষা সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৩য় অধ্যায়
আরও দেখুন: স্বাধীনতা তুমি সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৪র্থ অধ্যায়
আরও দেখুন: নব আনন্দে জাগো সমাধান – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৫ম অধ্যায়


আশাকরি “৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ৬ষ্ঠ অধ্যায়” আর্টিকেল টি তোমাদের ভালো লেগেছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে আমরা লাইভ ক্লাস ও নান সাজেশন শেয়ার করি। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং সাবক্রাইব করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top