শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সমাধান: আমরা প্রতিদিন নানা রকম কারুশিল্প ব্যবহার করি। বাঁশ, বেত ও কাঠের তৈরি কারুকার্যময় বিভিন্ন আসবাবপত্র আমাদের গৃহের সৌন্দর্য যেমন বাড়ায় তেমনি এগুলো আমাদের শোয়া, বসা, জামাকাপড় সংরক্ষণ, খাবার রাখা প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করা হয়। মাটির তৈরি কারুকার্যময় বিভিন্ন হাঁড়ি-পাতিল ও বাসন-কোসন গ্রামের সাধারণ মানুষের নিত্য-দিনের সংসারের প্রধান উপকরণ।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সমাধান
পেশা
যে কাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদের আর্থিক বা অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে পারি সেই কাজকে পেশা বলে। কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য যে কাজে যুক্ত হয় তাই পেশা। যেমন: শিক্ষক, কামার, কুমোর, তাঁতি ইত্যাদি। অনেকের পেশার মাঝেই লুকিয়ে থাকে শিল্প। অর্থাৎ শিল্পকে ভিত্তি করেই তারা তাদের পেশা বেছে নিয়েছেন। এ ধরনের পেশার মধ্যে মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
মৃৎশিল্প
মৃৎশিল্প’ শব্দটি ‘মৃত’ বা মাটি এবং ‘শিল্প’ বা সুন্দর সৃষ্টিশীল বস্তু; এই দুটি শব্দের মিলিত রূপ। অর্থাৎ মাটি দিয়ে তৈরি সব শিল্পকর্মকে মৃৎশিল্প বলা হয়। এঁটেল মাটি মৃৎশিল্পের প্রধান উপকরণ। মাটির তৈরি কলসি, ফুলের টব, সরা, বাসন, সাজের হাঁড়ি, খেলনাসামগ্রী, ঘর সাজানোর জিনিস ইত্যাদি মৃৎশিল্পের উদাহরণ। মৃৎশিল্প মানুষের আবিষ্কৃত প্রাচীন শিল্পগুলোর অন্যতম। মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত পেশাজীবীদের বলা হয় কুমার।
কাজের মাঝে শিল্প খুঁজি
পাঠ মূল্যায়ন
প্রশ্ন-১. যে কাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদের আর্থিক বা অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে পারি তাকে কী বলে?
উত্তর: পেশা।
প্রশ্ন-২. মৃৎশিল্প কী?
উত্তর: মাটির তৈরি শিল্পকর্ম।
প্রশ্ন-৩. মৃৎশিল্পের প্রধান উপকরণ কী?
উত্তর: মাটি।
প্রশ্ন-৪. যারা মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করেন তাদের কী বলা হয়?
উত্তর: কুমার।
তাঁতশিল্প
তাঁত হলো একধরনের যন্ত্র, যা দিয়ে তুলা বা তুলা হতে উৎপন্ন সুতা থেকে কাপড় বানানো যায়। তাঁতশিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের কার্পাস বা তত্ত্ব জাতীয় উদ্ভিদের ফল থেকে সুতা তৈরির মাধ্যমে কাপড় তৈরি করেন। বাংলাদেশের তাঁতশিল্প ও তাঁতিরা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক।
বাংলাদেশের তাঁতের কাপড়ের চাহিদা রয়েছে বিশ্বব্যাপী। প্রাচীন বাংলার গৌরব বৃদ্ধি করেছিলো জগদ্বিখ্যাত মসলিন। রাজশাহীর সিল্ক, কুমিল্লার খাদি, টাঙ্গাইলের শাড়ি, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি ও গামছা আমাদের তাঁতশিল্পের উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।
বাঁশ-বেতশিল্প
বাংলাদেশে ভৌগোলিকভাবে বাঁশ ও বেতের গাছ বেশি হয়। যে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান লোকজীবনের সঙ্গে মিশে আছে, বাঁশ- বেত তাদের অন্যতম। কুলা, চালুনি, খাঁচা, চাটাই, মই, ধানের গোলা, ঝুড়ি, মোড়া, মাছ ধরার চাঁই, মাথালসহ দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য প্রায় অনেক জিনিসই বাঁশ-বেতের তৈরি। বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র, ফ্রেম, ফুলদানি, কলম, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদির কদর রয়েছে দেশসহ সারা বিশ্বে।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সমাধান
পাঠ মূল্যায়ন
প্রশ্ন-১. কোনটি আমাদের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক?
উত্তর: তাঁতশিল্প ও তাঁতি।
প্রশ্ন–২. আমাদের কোন শিল্প দেশে ও বিদেশে সমভাবে সমাদৃত?
উত্তর: তাঁতশিল্প।
প্রশ্ন-৩. প্রাচীন বাংলার গৌরব বৃদ্ধি করেছিলো কোন দ্রব্য।
উত্তর: মসলিন কাপড়।
প্রশ্ন-৪. বাংলাদেশের কোন জেলায় উৎপাদিত শাড়ি তাঁতশিল্পের অন্যতম নিদর্শন?
উত্তর: টাঙ্গাইল জেলার।
শ্রমভঙ্গি
প্রতিদিন কাজের মধ্যে আমরা নিজেদের অজান্তেই অনেকগুলো দেহগুলি করে থাকি। একটি উলি থেকে আরেকটি ভঙ্গি বেশ ভিন্ন। সাধারণত আমি কী কাজ করছি তার ওপর নির্ভর করে আমার ভঙ্গি কেমন হবে। কাজ করার এ ভঙ্গিকে বলে শ্রমভলি’। যেমন: কুমারের মাটির জিনিস তৈরির ভঙ্গি, কামারের আগুনে বাতাস দিয়ে লোহা নরম করার ভঙ্গি ইত্যাদি।
দাদরা তাল
দাদরা হলো ৬ মাত্রার দুটি ছন্দে বিভক্ত একটি সমপদী তাল। হাতে তালি দিয়ে এবং গুনে তালটি চর্চা করা যায়। প্রথম মাত্রায় তালি দেওয়াকে ‘সোম’ এবং চতুর্থ মাত্রায় তালি না দিয়ে ফাঁকা রাখাকে ‘ফাঁক’ বলে।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সমাধান
পাঠ মূল্যায়ন
প্রশ্ন-১. শ্রম কী?
উত্তর: কাজ করার ভঙ্গি।
প্রশ্ন-২. দাদরা তালটি কয় মাত্রার?
উত্তর: হয় মাত্রার।
প্রশ্ন-৩. দাদরা তালে ‘সোম’ কী?
উত্তর: প্রথম মাত্রায় তালি দেওয়া।
প্রশ্ন-৪. দাদরা তালে ‘ফাঁক’ কী?
উত্তর: চতুর্থ মাত্রায় হাতে তালি না দিয়ে দুই তালু ফাঁকা রাখা। সরিয়ে ফাঁকা রাখা।
কাজী নজরুল ইসলাম
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ (২৪শে মে, ১৮৯৯) জন্মগ্রহণ করেন। নজরুলের ডাক নাম হিলো ‘দুখু মিয়া’। তিনি বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবী মানুষদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি গান ও কবিতা লিখেছেন। তাঁর কাব্যের বৃহৎ অংশজুড়ে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের দিনলিপি।
তিনি গোঁড়ামি, রক্ষণশীলতা ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার ও আচারসর্বদ্ধতা থেকে দেশবাসীর মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। নজরুল তাঁর সৃষ্টিকর্মে হিন্দু-মুসলিম মিশ্র ঐতিহ্যের পরিচর্যা করেছেন। তিনি বাংলা গজলের স্রষ্টা আর শ্যামা সংগীতে যুক্ত করেছিলেন অনন্য মাত্রা। ১৯৩৪ সালে তিনি চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সমাধান
পাঠ মূল্যায়ন
প্রশ্ন-১. আমাদের জাতীয় কবির নাম কী?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন-২. কে অবিভক্ত বাংলার সাহিত্যে, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন-৩. কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠ।
প্রশ্ন-৪. কাজী নজরুল ইসলামের ডাক নাম কী ছিল?
উত্তর: দুষ্টু মিয়া।
প্রশ্ন-৫. কে শ্যামা সংগীতে অনন্য মাত্রা যোগ করেছিলেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম।
শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সমাধান
কাজ-১: তোমার এলাকা, মহল্লা কিংবা গ্রামে কোনো শিল্প বা পেশাজীবীর পরিবার বা গোষ্ঠী আছে কি না তা অনুসন্ধান করে তালিকা তৈরি কর।
কাজের উদ্দেশ্য: নিজ এলাকার শিল্প বা পেশাজীবী পরিবার বা গোষ্ঠী সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে পারা।
কাজের ধরন: একক।
কাজের নির্দেশনা:
১. সমাজে কারা শিল্প বা পেশাজীবী তাদের সম্পর্কে ধারণা নিবো।
২. আমার এলাকায় কিংবা বাড়ির আশেপাশে শিল্প বা পেশাজীবীর পরিবার বা গোষ্ঠী আছে কি না তা অনুসন্ধান করব। প্রয়োজনে অভিভাবকের সাহায্য নিবো।
৩. পেশাজীবীদের সম্পর্কে জানব এবং তার একটি তালিকা করব।
নমুনা সমাধান: আমার এলাকার পেশাজীবীদের তালিকা- ১. কুমার; ২. কামার; ৩. বাঁশ-বেতের শিল্পী; ৪. রংমিস্ত্রি; ৫. কাঠমিস্ত্রি।
কাজ-২: শিল্পভিত্তিক পেশাকে বাছাই করে সেই পেশাগুলোকে নিয়ে কিছুটা গভীরভাবে ভাববার চেষ্টা করা।
কাজের উদ্দেশ্য: লোকশিল্প নির্ভর পেশা সম্পর্কে বাস্তবে জানা ও অভিজ্ঞতা নেওয়া।
কাজের ধরন: একক।
কাজের নির্দেশনা:
১. পেশাজীবীদের নামের তালিকা থেকে যেকোনো তিনটি পেশা বাছাই করা।
২. তাদের কাজ সম্পর্কে গভীরভাবে ভাববার চেষ্টা করা। যেমন: তারা কী ধরনের কাজ করে, কী কী উপকরণ ব্যবহার করে কাজ করে, কী পদ্ধতিতে কাজ করে তা সম্পর্কে প্রয়োজনে তাদের সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করা।
৩. কামার, কুমার, কাঠমিস্ত্রিসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের পেশা ও কাজগুলো আমাদের সমাজে কত গুরুত্বপূর্ণ তা উপলব্ধি করব।
নমুনা সমাধান: আমার এলাকার পেশাজীবীদের তালিকা থেকে আমি কামার, কুমার এবং কাঠমিস্ত্রি পেশাকে ভাববার বিষয় হিসেবে বাছাই করেছি। নমুনা প্রশ্ন এবং তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমি এ পেশাগুলো সম্পর্কে যা জেনেছি তা হলো—
কামার: কামার একটি প্রাচীন পেশা, যার কাজ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করা। ঘরবাড়ি, কৃষিকাজসহ সবধরনের পেশায় ব্যবহৃত নানা যন্ত্রপাতি কামাররা তৈরি করেন। প্রথমে তারা একটি লোহার টুকরা নিয়ে তা বহু সময় ধরে বার বার তাপ দিয়ে গরম করেন। তারপর সেই গরম লোহাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বিভিন্ন আকার দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কুমার: কুমার একটি প্রাচীন পেশা, যারা মাটি দিয়ে নানারকম পাত্র, খেলনা, মূর্তি, তৈজসপত্র ইত্যাদি তৈরি করেন। তারা এঁটেল মাটি কাদামাটি, চীনামাটি ইত্যাদির সাহায্যে বিভিন্ন দ্রব্য তৈরি করেন। কুমাররা প্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে মাটি নরম করে চাকতি বানান। তারপর চাকতিটিকে একটি চাকার মধ্যে রেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তাতে আকার দেওয়া হয়। আকার দেওয়া পাত্রটিকে প্রথমে সূর্যের তাপে ও পরবর্তী সময়ে চুলার আগুনে পোড়ানো হয়। সবশেষে রঙ করে তা সজ্জিত করা হয়।
কাঠমিস্ত্রি: কাঠমিস্ত্রি বা কার্পেন্টার কাঠের আসবাবপত্র তৈরি ও মেরামত করেন। কাঠমিস্ত্রি প্রথমে একটি ডিজাইন বা লে-আউট তৈরি করেন। এরপর সেই অনুযায়ী কাঠ নির্বাচন করেন। এরপর করাত, বাটালিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ডিজাইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধাচে কাঠ কাটেন এবং এরপর তা মসৃণ করে আসবাবপত্রে রূপদান করেন। সবশেষে কাঠের জিনিসে রঙ করে তা শুকানোর ব্যবস্থা করেন।
কাজ-৩: একটি নির্দিষ্ট পেশার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে জানা এবং বন্ধুখাতায় লিপিবদ্ধ করা।
কাজের উদ্দেশ্য: লোকশিল্প নির্ভর পেশা সম্পর্কে বাস্তবে জানা ও অভিজ্ঞতা নেওয়া।
কাজের ধরন: একক।
নমুনা সমাধান: আমার বাছাই করা পেশা হলো কুমার। কুমারের জিনিসপত্র তৈরির একটি প্রক্রিয়া নিচে দেওয়া হলো:
কুমারের কাজের প্রক্রিয়া:
১. প্রথমে ভূমি থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত এঁটেল মাটি বা কাদামাটি ব্যবহার করা হয়।
২. এরপর মাটি থেকে নুড়ি, ময়লা, পাথর ইত্যাদি পরিষ্কার করা হয়।
৩. পরিষ্কার করা মাটিতে নির্দিষ্ট মাত্রায় পানি মিশিয়ে তা নরম করা হয়। পানির পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। বেশি বা কম পানি ব্যবহার করলে মাটির পাত্রটি তৈরি করা নাও যেতে পারে।
৪. এরপর মাটির চাকতিটিকে কাঠের চাকার মধ্যে বসিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পছন্দমত আকার দেওয়া হয়।
৫. মাটির পাত্রটিকে মসৃণ করতে বা কারুকাজ করতে কাঠের বা পাথরের পিটনা ব্যবহার করা হয়।
৬. নির্দিষ্ট ডিজাইনে আকার দেওয়ার পর মাটির পাত্রটিকে রোদে শুকানো হয়।
৭. এরপর তা মাটির ডাটার আগুনে উচ্চ তাপমাত্রায় (৬০০-১৬০০° সে.) পোড়ানো হয়। এতে মাটির পাত্রটি শক্ত ও দৃঢ় হয়।
৮. মাটির পাত্রটি পোড়ানো হয়ে গেলে তা বের করে পরিষ্কার করে বিভিন্ন রঙ করা হয়। এক্ষেত্রে লাল, নীল, সবুজ রঙয়ের ব্যবহার বেশি লক্ষ করা যায়।
৯. রঙ করার পর শুকানো হলে তার চাকচিক্য বাড়াতে উপরে রঙয়ের গ্লেজ ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বন্ধুখাতায় লিখে নেবো।
কাজ-৫: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা।
কাজের উদ্দেশ্য: কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করা।
কাজের ধরন: একক।
নমুনা সমাধান: কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন মানবতার কবি। বাংলা সাহিত্যে তাঁর সৃষ্টিকর্ম অনন্য ভাস্বর। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী নজরুল বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে উচ্চ আসনে তুলে ধরেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে– অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, সন্ধ্যা, দোলনচাঁপা, ছায়ানট, চিত্তনামা, সঞ্চিতা, ভাঙ্গার গান, প্রলয় শিখা, সিন্ধু, ভাস্কর, সামগ্রী, ঝিঙ্গেফুল, ফনিমনসা ইত্যাদি। ১৯৩২ সালে তাঁর বিখ্যাত কবিতা সংকলন ‘অগ্নিবীণা’ প্রকাশিত হয়। গদ্য রচনা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস, সঙ্গীত ইত্যাদি অঙ্গনে নজরুলের সৃষ্টিকর্ম ছড়িয়ে আছে।
কাজ-৬: ‘কাজের মাঝে শিল্প খুঁজি’ পাঠ থেকে জেনে পছন্দের শিল্প সম্পর্কে লেখা।
কাজের উদ্দেশ্য: গভীর অনুভূতি ও দক্ষতাকে কল্পনার সাথে মিলিয়ে নিজের পছন্দমত মাধ্যমে প্রকাশ করার চিন্তা করা।
কাজের ধরন: একক।
নমুনা সমাধান: ‘কালের মাঝে শিল্প খুঁজি’ পাঠ থেকে আমি মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশ-বেতশিল্প সম্পর্কে জেনেছি। এই শিল্পগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের শিল্প হচ্ছে মৃৎশিল্প। মৃৎশিল্প বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পগুলোর অন্যতম। আমি নিজেও মাটি দিয়ে ছোট ছোট খেলনা তৈরি করেছি। শ্রেণিশিক্ষক আমাদের মাটির ফলক তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। আমরা আশেপাশে নানা ধরনের মাটির তৈরি সামগ্রী, যেমন- মাটির কলসি, ফুলদানি, ব্যাংক, খেলনা ইত্যাদি দেখতে পাই। মৃৎশিল্প আমাদের ঐতিহ্যের অংশ।
আরও দেখুন: বিশ্বজোড়া পাঠশালা – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ১ম অধ্যায় সমাধান
আরও দেখুন: নকশা খুঁজি নকশা বুঝি – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ২য় অধ্যায় সমাধান
আরও দেখুন: মায়ের মুখের মধুর ভাষা – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৩য় অধ্যায় সমাধান
আরও দেখুন: স্বাধীনতা আমার – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় সমাধান
আরও দেখুন: বৈচিত্র্যে ভরা বৈশাখ – শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৫ম অধ্যায় সমাধান
আশাকরি “শিল্প ও সংস্কৃতি ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সমাধান” আর্টিকেল টি তোমাদের ভালো লেগেছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে আমরা লাইভ ক্লাস ও নান সাজেশন শেয়ার করি। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক–পেইজ–লিংকডিন এবং সাবক্রাইব করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।